My Madrash life

সালটা ছিল (২০০৭) চলে আসলাম আমি গ্রামের বাড়িতে। এখানের একটা নিজস্ব মাদ্রাসায় ভর্তি হলাম। কিন্তু কিছুতেই নিজের মনস্থির করতে পারছিলাম না। পুরানো স্মৃতিগুলো খুবই তাড়া করতো। নতুন জায়গা নতুন মানুষ সব মিলিয়ে এক অচেনা দৃশ্য। এখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। এখানের কালচার/সংস্কৃতির ধারাগুলো। আমাকে নতুন পেয়ে পুরানো ছাত্র/ছাত্রীরা খুবই হাসি-ঠাট্টা করতো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। অচেনা জায়গাতে নিজেকে নিয়েজিত করতে খানিকটা সময় লেগেছিল। তবে কিছুদিন পরে সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে গেল। একই নিয়মে আমি এখানে ৪র্থ শ্রেনি থেকে ৮ম শ্রেনি পর্যন্ত অধ্যায়ন করি। এই সময়টা ছিল আমার শিক্ষা জীবনের দ্বিতীয় ধাপ। স্মৃতিগুলো তখন বুজতে পারিনি তবে এখন মনে হচ্ছে খুব মধুরই ছিল। ক্রমে ক্রমে আমার বেড়ে ওঠা এবং মানসিকতার পরিবর্তন। আমি সর্বদা একাকিত্বতা মেন্টেন করতে চলতাম কারন আমার এটাই পছন্দ ছিল। প্রয়োজন ব্যাতিত একবিন্দুও কারো সাথে কথা বলতাম না। এটার কারনটা কি ছিল আজও সেটা নিজের কাছে অজানা। এভাবে আমি মাদ্রাসা জীবনের দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করলাম।

সালটা ছিল (২০০৫)। আমি তখন প্রথম শ্রেনিতে ভর্তি হই পড়াশুনার তাগিদে। ইতিপূর্বে আমি একটা স্কুলে পড়েছিলাম তবে সেই স্মৃতিটা এখানে টানবো না। মানুষের জীবনের এই ছোটবেলার জীবনটা খুবই চমকপ্রদ হয় তেমনি আমার ও হয়েছিল। নতুন মাদ্রাসা পেয়ে মেতে উঠেছিলাম আমি আনন্দের হাতছানিতে। এখান থেকেই আমার শিক্ষা জীবনের সূচনা হয়। অনে8ক অনেক নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচিত হয়ে বেশ ভালোই লাগছিল এই আমার। তবে বিশেষ করে আমার একটা প্রিয় শিক্ষক ছিল যার কথা এখনো আমার খুব মনে পড়ে। সে আমার হৃদয় ঘিড়ে আছে এবং থাকবে। কখনোই আমি তার মুখটিকে ভুলতে পারবো না। আমি তাকে অনেক খুজেছি কিন্তু তার দেখা পাইনি তাতে আফসোস নেই সে আমার অন্তরেই থাকবে। ছোটবেলার শিক্ষা জীবনটা খুবই ভালো ছিল। আমি ছোটবেলা থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলাম সেই ভাবেই আমার বেড়ে ওঠা। আমি আমার প্রিয় শিক্ষকের কাছে মক্তবে পড়াশুনা করতাম সেই থেকেই তার সাথে আমার খুব ঘনিষ্ঠতা। তবে তিনিও আমাকে তার সন্তানতুল্য স্নেহ ও ভালোবাসতেন। তার ভালোবাসা আজও আমি নিরবে অনুভব করতে পারি। সালটা ছিল (২০০৭) তখন একটি ঘুর্নিঝড় হয় নাম তার সাইক্লোন লন্ড-ভন্ড করে দিল সবকিছু। তার পরেই আমাকে চলে আসতে হয় গ্রামের বাড়িতে। আসতে খুবই মন চাইছিল না আমার হুজুরকে ছেড়ে কিন্তু কিবা করার আছে এটাই বাস্তবতা ক্ষনিকের জন্য হলেও মানুষ মানুষকে ত্যাগ করে। এই ভাবেই শেষ হল আমার মাদ্রাসা জীবনের প্রথমাংশ।